মঙ্গলবার দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে হনুমান জয়ন্তী। সকাল থেকেই হনুমান মন্দিরগুলিতে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। পুজোর আচার-বিধি মেনেই বজরংবলির পুজো দিচ্ছেন তাঁরা। দুখহর্তা, সংকট মোচন হিসেবেই হনুমানের প্রার্থনা করে থাকেন ভক্তরা। আবার ভূত বা অলৌকিক শক্তি থেকে মুক্তি পেতেও হনুমানের স্মরণ করা হয়। কিন্তু এমন অনেক বিপদ আছে যা হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে দূর হয়। অনেক মানুষের কাছেই বজরংবলির সেই লীলার কথা অজানা। এই প্রতিবেদনে থাকল তেমনই কিছু বিশেষ তথ্য।
হনুমান চল্লিশা পাঠের নানা নিয়ম-বিধিও রয়েছে। তবে প্রচলিত আচার মেনে মঙ্গল ও শনিবার ভোরে স্নান করে সকালেই হনুমান মন্ত্র জপ করে থাকেন ভক্তরা। কিন্তু প্রতিটি বিপদের ক্ষেত্রে হনুমান চল্লিশা পাঠের নিয়ম আলাদা। জীবনে যে ধরনের সংকট মোচনের জন্য রামভক্তের শরণাপন্ন হন মানুষ। সেক্ষেত্রে মন্ত্র পাঠের সঠিক সময় হল রাত। তাহলেই সবরকম প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সাফল্য মিলবে।
কখনও সজ্ঞানে আবার কখনও অজান্তেই মানুষ ভুল কাজ বা পাপ করে বসেন। শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিকল্প হয় না। এক্ষেত্রেও হনুমান চল্লিশার মাহাত্ম অপরিসীম। রাতে আটবার হনুমান চল্লিশার শুরুর লাইনগুলি আওড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন জ্যোতিষীরা। পাপমুক্ত হবে আপনার মন।
অনেক ব্যক্তির উপরই শনিদেব অসন্তুষ্ট থাকেন। ফলে পদে পদে হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। তাই শনি দশা কাটাতেও শরণাপন্ন হতে পারেন বজরংবলির। পুরানে কথিক আছে, একবার শনিদেবের প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলেন হনুমান। প্রসন্ন শনিদেব জানিয়ে ছিলেন, হনুমানের সত্যিকারের ভক্তের তিনি কখনও কোনও ক্ষতি করবেন না। এছাড়া দুষ্টদমনে হনুমান চল্লিশার জুড়ি মেলা ভার। হিন্দি ছবিতেও অনেক সময় দেখা যায়, ভূত তাড়াতে হনুমান মন্ত্র জপ করা হচ্ছে। চল্লিশাতেই রয়েছে, “ভূত পিশাচ নিকট নহি আবে, মহাবীর যব নাম শুনাবে।” যে কোনও ধরনের ভয়, আতঙ্ক কাটে এই মন্ত্রে। এই কারণে শিশুদেরও এই মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।
দোহা
স্মরণ করি শ্রী গুরু চরণ নিজ মন মুকুর সুধার
করি বর্ণন রঘুনাথ যশঃ যাহা ফল দায়ক চার
বুদ্ধি তনু জানিয়া স্মরণ করি পবন কুমার
বল বুদ্ধি বিদ্যা দাও হে প্রভু হর মোর ক্লেশ আর মনের বিকার
স্মরণ করি শ্রী গুরু চরণ নিজ মন মুকুর সুধার
করি বর্ণন রঘুনাথ যশঃ যাহা ফল দায়ক চার
বুদ্ধি তনু জানিয়া স্মরণ করি পবন কুমার
বল বুদ্ধি বিদ্যা দাও হে প্রভু হর মোর ক্লেশ আর মনের বিকার
চৌপাহী
জয় হনূমান জ্ঞান গুণ সাগর।
জয় কপিশ ত্রিলোক উজাগর।
রাম দূত তুমি অতি বলশালী।
অঞ্জনী পুত্র পবন সূত মহাবলী।
মহাবীর যে নাম তব তুমি বজরঙ্গী।
কুমতি নিবার প্রভু, সুমতির সঙ্গী।
কাঞ্চন বরণ তব, বেশ সুবেশা।
কানেতে কুন্তল, কুঞ্চিত কেশা।
হাতে তে বজ্র আর ধ্বজা বিরাজে।
কাঁধেতে মুঞ্জ, উপবীত সাজে।
শঙ্করাংশে জন্ম তব, হে কেশরী নন্দন।
তেজ প্রতাপ তব মহা জগ বন্দন।
বিদ্যাবান তুমি, তুমি অতি চতুর।
রাম কাজ করিবারে, আতুর।
প্রভু চরিত্র শুনিবার রাখ অভিলাষা।
রাম-লখন আর সীতায় দাও ভালবাসা।
সুক্ষ্মরূপ ধরি, অসুর সংহার।
শ্রী রঘুনাথ সকল কাজ সার।
আনি সঞ্জীবনী, সৌমিত্রে বাচাইলে।
রাঘবের মনে তুমি, হরষ আনিলে।
তব কাজে রঘুনাথ মুগ্ধ হইলো।
ভরত ভ্রাতা সম, আলিঙ্গন দিল।
স্বনকাদি ব্রহ্মাদি, ঋষি মুনি যত।
তব গুন গাহে, নারদ সহিত।
যম কুবের, দিকপাল যেখানে।
কবি কৌবিদ তারে, কহিনা কেমনে।
সুগ্রীব উপকার, ততুমি যে করিলে।
রামে মিলায়ে তারে, রাজপদ দিলে।
তোমারি মন্ত্র যবে, বিভীষন মানিল।
লঙ্কেশ হইল সে, সারা বিশ্ব জানিল।
সহস্র যোজন দূরে, থাকে যে ভানু।
ধাইলে লইতে তাহা, তুমি বীর হনু।
প্রভুমুদ্রিকা, রাখি মুখ মাঝে।
জলধি লঙ্ঘিলে, রঘুনাথ কাজে।
দুর্গম কাজ যত, জগতে আছে।
সুগম যে হয় তাহা তোমারি কাছে।
তুমি যে দ্বারী, রাম দুয়ারে।
আজ্ঞা বিনা কেহ, প্রবেশিতে নারে।
তোমারি স্মরণে যে, সব সুখ পা-ই।
রক্ষক হ’লে তুমি, কোন ভয় না-হি।
মহাতেজ তেজবনিকর জবে আপনারে।
ত্রিলোক যে কাঁপে, তব বিকট হুঙ্কারে।
ভূত পিশাচ, নিকট নাহি আসে।
তব নাম লয় যে, থাক তার পাশে।
নাশ করহ সব রোগ, হরহ সব পীড়া।
যে জন নিরত জপে, হনুমান বলবীরা।
সব সঙ্কট কর মোচন, তুমি বীর হনুমান।
মন ক্রম বচনে, ধরে যে ধ্যান।
সর্বোপরি রাম রাজার যে তপস্বী রূপ।
তাহার সকল কাজ কর তুমি অনুপ।
যে কোন মনোরথ, যে জন করিবে।
তোমারি কৃপায় সে, অমিত ফল পাবে।
চারি যুগ তব, প্রতাপ-বাখানি।
জগতে খ্যাত তুমি, তাহা যে জানি।
সাধু সন্তের, তুমি রক্ষা কারি।
অসুর নিকন্দন, তুমি দুঃখ হারি।
অষ্ট-সিদ্ধি আর, নয়-নিধির দাতা।
আশীষ-করিলা তোমা, জানকী মাতা।
রাম রসায়ন, তোমারি পাশে।
রুঘুপতি সম মনে, রেখো এ দাসে।
তোমারি ভজন গাহি, রাম পদ লভি।
জনম জনম ভুলি, দুঃখ যে সবই।
অন্তিম কালে স্থান, দিও রঘুবর পুরে।
রাম নাম সেথা যেন, পাই জপিবারে।
রাম নাম জপে যে, সে বড় চতুর
সঙ্কট মোচন হয়, হয় শোক সব দূর।
শোক তাপ মোচন করে, হরে সব পীড়া।
যে জন স্মরণ করে, হনুমান বল বীরা।
জয়-জয়-জয়, হনুমান জ্ঞান গোঁসাঈ ।
কৃপা করহ দেব, ভাঁতি গুরু ভাই।
যে জন নিত্য পাঠ করে, হনুমান চালিশা।
মহাসুখ পায় হে, নাম রটে চহু দিশা।
জয় হনুমান, জয়-জয় মহাবীর।
“তারায়” তারাও প্রভু, এ ভব সাগর।
জয় হনূমান জ্ঞান গুণ সাগর।
জয় কপিশ ত্রিলোক উজাগর।
রাম দূত তুমি অতি বলশালী।
অঞ্জনী পুত্র পবন সূত মহাবলী।
মহাবীর যে নাম তব তুমি বজরঙ্গী।
কুমতি নিবার প্রভু, সুমতির সঙ্গী।
কাঞ্চন বরণ তব, বেশ সুবেশা।
কানেতে কুন্তল, কুঞ্চিত কেশা।
হাতে তে বজ্র আর ধ্বজা বিরাজে।
কাঁধেতে মুঞ্জ, উপবীত সাজে।
শঙ্করাংশে জন্ম তব, হে কেশরী নন্দন।
তেজ প্রতাপ তব মহা জগ বন্দন।
বিদ্যাবান তুমি, তুমি অতি চতুর।
রাম কাজ করিবারে, আতুর।
প্রভু চরিত্র শুনিবার রাখ অভিলাষা।
রাম-লখন আর সীতায় দাও ভালবাসা।
সুক্ষ্মরূপ ধরি, অসুর সংহার।
শ্রী রঘুনাথ সকল কাজ সার।
আনি সঞ্জীবনী, সৌমিত্রে বাচাইলে।
রাঘবের মনে তুমি, হরষ আনিলে।
তব কাজে রঘুনাথ মুগ্ধ হইলো।
ভরত ভ্রাতা সম, আলিঙ্গন দিল।
স্বনকাদি ব্রহ্মাদি, ঋষি মুনি যত।
তব গুন গাহে, নারদ সহিত।
যম কুবের, দিকপাল যেখানে।
কবি কৌবিদ তারে, কহিনা কেমনে।
সুগ্রীব উপকার, ততুমি যে করিলে।
রামে মিলায়ে তারে, রাজপদ দিলে।
তোমারি মন্ত্র যবে, বিভীষন মানিল।
লঙ্কেশ হইল সে, সারা বিশ্ব জানিল।
সহস্র যোজন দূরে, থাকে যে ভানু।
ধাইলে লইতে তাহা, তুমি বীর হনু।
প্রভুমুদ্রিকা, রাখি মুখ মাঝে।
জলধি লঙ্ঘিলে, রঘুনাথ কাজে।
দুর্গম কাজ যত, জগতে আছে।
সুগম যে হয় তাহা তোমারি কাছে।
তুমি যে দ্বারী, রাম দুয়ারে।
আজ্ঞা বিনা কেহ, প্রবেশিতে নারে।
তোমারি স্মরণে যে, সব সুখ পা-ই।
রক্ষক হ’লে তুমি, কোন ভয় না-হি।
মহাতেজ তেজবনিকর জবে আপনারে।
ত্রিলোক যে কাঁপে, তব বিকট হুঙ্কারে।
ভূত পিশাচ, নিকট নাহি আসে।
তব নাম লয় যে, থাক তার পাশে।
নাশ করহ সব রোগ, হরহ সব পীড়া।
যে জন নিরত জপে, হনুমান বলবীরা।
সব সঙ্কট কর মোচন, তুমি বীর হনুমান।
মন ক্রম বচনে, ধরে যে ধ্যান।
সর্বোপরি রাম রাজার যে তপস্বী রূপ।
তাহার সকল কাজ কর তুমি অনুপ।
যে কোন মনোরথ, যে জন করিবে।
তোমারি কৃপায় সে, অমিত ফল পাবে।
চারি যুগ তব, প্রতাপ-বাখানি।
জগতে খ্যাত তুমি, তাহা যে জানি।
সাধু সন্তের, তুমি রক্ষা কারি।
অসুর নিকন্দন, তুমি দুঃখ হারি।
অষ্ট-সিদ্ধি আর, নয়-নিধির দাতা।
আশীষ-করিলা তোমা, জানকী মাতা।
রাম রসায়ন, তোমারি পাশে।
রুঘুপতি সম মনে, রেখো এ দাসে।
তোমারি ভজন গাহি, রাম পদ লভি।
জনম জনম ভুলি, দুঃখ যে সবই।
অন্তিম কালে স্থান, দিও রঘুবর পুরে।
রাম নাম সেথা যেন, পাই জপিবারে।
রাম নাম জপে যে, সে বড় চতুর
সঙ্কট মোচন হয়, হয় শোক সব দূর।
শোক তাপ মোচন করে, হরে সব পীড়া।
যে জন স্মরণ করে, হনুমান বল বীরা।
জয়-জয়-জয়, হনুমান জ্ঞান গোঁসাঈ ।
কৃপা করহ দেব, ভাঁতি গুরু ভাই।
যে জন নিত্য পাঠ করে, হনুমান চালিশা।
মহাসুখ পায় হে, নাম রটে চহু দিশা।
জয় হনুমান, জয়-জয় মহাবীর।
“তারায়” তারাও প্রভু, এ ভব সাগর।
দোহা
পবন তনয় সম্কট হরণ, মঙ্গল মুরতি রূপ।
রাম লখন সীতা সহ, হৃদয়ে বসহ কপিসূত।
একবার প্রেমা-বেগে-বল।
সীতাপতি শ্রী রামচন্দ্রের জয়।
মহাবীর বজরংবলীর জয়।
পবনসুত হনুমানের জয়।
পবন তনয় সম্কট হরণ, মঙ্গল মুরতি রূপ।
রাম লখন সীতা সহ, হৃদয়ে বসহ কপিসূত।
একবার প্রেমা-বেগে-বল।
সীতাপতি শ্রী রামচন্দ্রের জয়।
মহাবীর বজরংবলীর জয়।
পবনসুত হনুমানের জয়।
” সঙ্কট মোচন হনুমাস্টক ”
শিশুকালে যবে গ্রাসিলে রবি।
ত্রিলোক হইল আঁধার।
তাহা দেখি ত্রাসিত বিশ্ব সারা।
কেমনে এক সঙ্কট হইব পার।
দেবগন আসি যবে করিল বিনয়।
ছাড়ি দিলা রবি, করিলে উপকার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
বালির ত্রাসে ত্রাসিত কপি সব।
বসে যবে গিরির উপর।
দেখাইলে তাহাদের পথ তুমি।
তুমিই হরিলে বিপদ।
মহাক্রোধে মহামুনি শাপিলে বালিরে।
দ্বিজ রূপে তুমিই তারিলে সে পাথার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
আঙ্গাদ সাথে তুমি গেলে যবে।
সীতা খোঁজে সাগরের পার।
করিলে পন তুমি ফিরিবে না।
না লয়ে সন্ধান সীতার।
আনিলে সন্ধান রাম হৃদে।
করিলে প্রাণ সঞ্চার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
রাবন ত্রাসে ত্রাসিতা সীতার শোক নিবারিলে।
করিলে উপকার।
মারি নিশাচর অভয় যে দানিলে।
পুলক হইল সবাকার।
মুদ্রিকা আনি দিলে শ্রীরামের শোক নিবারিলে।
তুমি গুনাধার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
শক্তিবানে যবে লক্ষণ প্রাণ ত্যাজে।
হইলে তুমিই উপকারী।
পেয়ে এলে বৈদ্য সুষেনে গৃহে।
গন্ধমাদন আনিলে উপাড়ি।
আনিলে সঞ্জীবনী লখনে বাঁচাইলে।
হরষ হইল সবার।
কে নাহি জানে সঙ্কটহারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
রাবণ রণ আহ্বানিল যবে।
নাগ পাশে বন্ধন হইল সবার।
শ্রী রঘুনাথ সমেত সবে।
মায়া মোহে দেখিল আঁধার।
আনি খগেসে তুমি কাটাইলে বন্ধন।
করিলে উপকার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
বন্ধু সমেত জবে অহিরাবণ লয়ে রঘুনাথে।
পাতালে করিলা বিহার।
দেবগণে পুজি তুমি হে মহাপ্রভু।
সবে মিলি করি মন্ত্রণা বিচার।
সহায় হইলে তুমি সান্তনা দানিলে।
অহিরাবণে, করিলা সংহার।
কে নাহি জানে সঙ্কটহারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
কাজ করিলে তুমি দেবগণের।
ধরিলে নাম মহাবীর।
” তারার ” – ও সঙ্কট তারো তুমি প্রভু।
তোমারে যে ডাকি হইয়া অধীর।
ক্লেশ হরো হনুমান মহাপ্রভু।
তুমি যে সঙ্কট হার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
শিশুকালে যবে গ্রাসিলে রবি।
ত্রিলোক হইল আঁধার।
তাহা দেখি ত্রাসিত বিশ্ব সারা।
কেমনে এক সঙ্কট হইব পার।
দেবগন আসি যবে করিল বিনয়।
ছাড়ি দিলা রবি, করিলে উপকার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
বালির ত্রাসে ত্রাসিত কপি সব।
বসে যবে গিরির উপর।
দেখাইলে তাহাদের পথ তুমি।
তুমিই হরিলে বিপদ।
মহাক্রোধে মহামুনি শাপিলে বালিরে।
দ্বিজ রূপে তুমিই তারিলে সে পাথার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
আঙ্গাদ সাথে তুমি গেলে যবে।
সীতা খোঁজে সাগরের পার।
করিলে পন তুমি ফিরিবে না।
না লয়ে সন্ধান সীতার।
আনিলে সন্ধান রাম হৃদে।
করিলে প্রাণ সঞ্চার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
রাবন ত্রাসে ত্রাসিতা সীতার শোক নিবারিলে।
করিলে উপকার।
মারি নিশাচর অভয় যে দানিলে।
পুলক হইল সবাকার।
মুদ্রিকা আনি দিলে শ্রীরামের শোক নিবারিলে।
তুমি গুনাধার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
শক্তিবানে যবে লক্ষণ প্রাণ ত্যাজে।
হইলে তুমিই উপকারী।
পেয়ে এলে বৈদ্য সুষেনে গৃহে।
গন্ধমাদন আনিলে উপাড়ি।
আনিলে সঞ্জীবনী লখনে বাঁচাইলে।
হরষ হইল সবার।
কে নাহি জানে সঙ্কটহারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
রাবণ রণ আহ্বানিল যবে।
নাগ পাশে বন্ধন হইল সবার।
শ্রী রঘুনাথ সমেত সবে।
মায়া মোহে দেখিল আঁধার।
আনি খগেসে তুমি কাটাইলে বন্ধন।
করিলে উপকার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
বন্ধু সমেত জবে অহিরাবণ লয়ে রঘুনাথে।
পাতালে করিলা বিহার।
দেবগণে পুজি তুমি হে মহাপ্রভু।
সবে মিলি করি মন্ত্রণা বিচার।
সহায় হইলে তুমি সান্তনা দানিলে।
অহিরাবণে, করিলা সংহার।
কে নাহি জানে সঙ্কটহারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
কাজ করিলে তুমি দেবগণের।
ধরিলে নাম মহাবীর।
” তারার ” – ও সঙ্কট তারো তুমি প্রভু।
তোমারে যে ডাকি হইয়া অধীর।
ক্লেশ হরো হনুমান মহাপ্রভু।
তুমি যে সঙ্কট হার।
কে নাহি জানে সঙ্কট হারি তুমি।
সঙ্কট মোচন নাম তোমার।
দোহা
লাল দেহ লালিমা লিপ্ত।
আর শোভে লাল লঙ্গুর।
বজ্রদেহ দানব দলন।
জয়-জয়-জয় কপিসুর।
ইতি শ্রী সঙ্কট মোচন হনুমাস্টক সমাপ্তম।
লাল দেহ লালিমা লিপ্ত।
আর শোভে লাল লঙ্গুর।
বজ্রদেহ দানব দলন।
জয়-জয়-জয় কপিসুর।
ইতি শ্রী সঙ্কট মোচন হনুমাস্টক সমাপ্তম।
হনুমান আরতী
আরতী কর, আরতী কর, আরতী কর,
হনুমান লাল কী।
দুষ্টদলন, দুঃখ তারন শ্রী রাম দাস কী।
আরতী কর।
যাহারো বলে গিরিবর কাঁপে।
রোগ শোক যার নিকট না ঝাঁকে।
অঞ্জনী পুত্র মহাবলী কী। আরতী করো।
সাঁধু সন্তেরো তুমি রক্ষাকারি।
রাম কাজে তুমি মহাবেগধারী।
তোমারি বাহু বলে রামপদ পায় জানকী।
আরতী কর।
লঙ্কা জ্বালি তুমি অসুর সংহারো।
রাম সীতার সকল কাজ সারো।
আনি সঞ্জীবনী প্রাণ সঞ্চারো লক্ষণ কী ।
আরতী কর।
বাম বাহু তত দানব দলনকারি।
ডান বাহুতে রাখ লাজ সবার-ই ।
সুর নর মুনি জন গাহে যসঃ তব নাম কী।
আরতী কর।
জয়-জয়-জয় হনুমান মহাবলশালী।
কাঞ্চন থালে সাজায়ে আরতী।
শুভ্র কর্পূর জ্বালি।
করে আরতী মাতা অঞ্জলী হনুমান লাল কী।
আরতী কর….
হনুমান আরতী যে জন নিত্য গাহে।
বৈকুন্ঠবাসী হয়ে অন্তিমে অমর পদ পায়ে।
রাম পদ লভিতে তব নাম গাহে — “তারা ” —
হে মারুতী। আরতী কর……
আরতী কর, আরতী কর, আরতী কর,
হনুমান লাল কী।
দুষ্টদলন, দুঃখ তারন শ্রী রাম দাস কী।
আরতী কর।
যাহারো বলে গিরিবর কাঁপে।
রোগ শোক যার নিকট না ঝাঁকে।
অঞ্জনী পুত্র মহাবলী কী। আরতী করো।
সাঁধু সন্তেরো তুমি রক্ষাকারি।
রাম কাজে তুমি মহাবেগধারী।
তোমারি বাহু বলে রামপদ পায় জানকী।
আরতী কর।
লঙ্কা জ্বালি তুমি অসুর সংহারো।
রাম সীতার সকল কাজ সারো।
আনি সঞ্জীবনী প্রাণ সঞ্চারো লক্ষণ কী ।
আরতী কর।
বাম বাহু তত দানব দলনকারি।
ডান বাহুতে রাখ লাজ সবার-ই ।
সুর নর মুনি জন গাহে যসঃ তব নাম কী।
আরতী কর।
জয়-জয়-জয় হনুমান মহাবলশালী।
কাঞ্চন থালে সাজায়ে আরতী।
শুভ্র কর্পূর জ্বালি।
করে আরতী মাতা অঞ্জলী হনুমান লাল কী।
আরতী কর….
হনুমান আরতী যে জন নিত্য গাহে।
বৈকুন্ঠবাসী হয়ে অন্তিমে অমর পদ পায়ে।
রাম পদ লভিতে তব নাম গাহে — “তারা ” —
হে মারুতী। আরতী কর……
——-সমাপ্ত——-